বাল্যবিবাহ একটি অত্যন্ত বিপথগ্রস্ত অভিজাত অপরাধ। এটি না মাত্র একটি সমাজের উন্নতি ও সম্মানের বিপরীতে একটি প্রতিবন্ধী গোষ্ঠীর উপস্থাপন করে, বরং এটি আমাদের সমাজের সামাজিক ও মানবিক উন্নতির বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। বাল্যবিবাহ একটি ত্রাসবর্ণিত প্রথা, যেটি মেয়েদের স্বাধীনতা এবং অধিকার নিয়ে একটি ব্যাপক আঘাত করে।
বাল্যবিবাহ নিয়ে আমাদের সমাজের সচেতনতা উন্নতি করা প্রয়োজন। এটি আমাদের মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি আপনার সচেতনতা উন্নত করে। এটি মেয়েদের শিক্ষার অধিকার এবং উন্নতির উদ্দেশ্যে একটি মৌলিক অভিযানের অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। এটি পরিবার এবং সমাজের সদস্যদের অধিক সচেতন ও প্রস্তুতি উন্নত করে তাদের সন্তানদের বাল্যবিবাহ নিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
বাল্যবিবাহের ক্ষতি উল্লেখযোগ্য। এটি মেয়েদের শিক্ষার সম্ভাবনা ও স্বাধীনতা বিপরীত করে। এটি তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পথে বাধা পুরোধা করে। তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির সাথে সাথে এটি একটি প্রকার বিপদ নিয়ে আসে যে অধিকাংশ সময় অসহনীয় এবং মানবিক নয়।
সমাজে বাল্যবিবাহ নিয়ে উচ্চতা উন্নত করার প্রয়োজন। প্রধানত শিক্ষা, সচেতনতা এবং আইনের প্রয়োগ এই মেশিনার উপর নির্ভর করে যা এই প্রথাকে পরিবর্তন করতে সহায়ক হতে পারে। পরিবার, সরকার এবং সামাজিক সংগঠনগুলির সহযোগিতা ও উৎসাহের প্রয়োজন একটি পরিবর্তন ঘটাতে। একইসাথে, মেয়েদের স্বাধীনতা, সামাজিক সম্মান এবং উন্নতির জন্য আমাদের প্রয়াস অবিরাম।
বাল্যবিবাহ বা শিশু বিবাহ সমাজের জন্য একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর অনুভূতি যেন হয়ে দাঁড়ায়। এর খারাপ দিকগুলো অনেকগুলো:
১. শিশুর ভবিষ্যত অব্যাহত হয়: বাল্যবিবাহে যে শিশুরা নিজের শিক্ষাগত এবং সামাজিক উন্নতির সুযোগ হারায়, তাদের ভবিষ্যত অব্যাহত হয়ে যায়।
২. শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা: অতি কম বয়সে বিবাহিত হওয়া শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
৩. শিক্ষা ও পেশাদারি উন্নতির হারানো: বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েদের বিদ্যালয় প্রতিরোধ হয় এবং পেশাদারি উন্নতির সুযোগ হারায়।
৪. সামাজিক অসন্তোষ: বাল্যবিবাহ সমাজে অস্থিরতা এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করে, যা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
৫. অধিকাংশ বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে স্ত্রীর অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে হানি হয়: মেয়েদের প্রতি অধিকার ও স্বাধীনতা হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে।
বাল্যবিবাহের মাধ্যমে সমাজ এবং ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নষ্ট হয় যা আমাদের সমাজের উন্নতি এবং উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী।
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের পরিস্থিতি পূর্বে এবং বর্তমানে পরিবর্তন পেয়েছে।
পূর্বে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ অনেকটা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির অংশ ছিল। এর পেছনে বেশিরভাগ বিবাহে কাজ বা অর্থ সম্পর্কিত ছিল। সামাজিক দায়িত্ব প্রায় শিশুদের উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠানোর পরিবর্তে সন্তানদের বিবাহ করার প্রয়োজন মনে হত। এছাড়াও গরীব পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করার মাধ্যমে আর্থিক পরিস্থিতি সুধারা চেষ্টা করা হত।
তবে, বর্তমানে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের প্রতি সচেতনতা ও ব্যতিক্রম বাড়ছে। সরকার, সামাজিক সংগঠন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ফলে এখন একটি ধর্মীয়, আইনি এবং সামাজিক দৃষ্টিকোনে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি এবং গৈরসরকারি সংস্থাগুলি বাল্যবিবাহের প্রতি সচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং কানুনি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিয়ে শাস্তি প্রয়োজন বলে বিবেচনা করছে। এছাড়াও, সমাজের উচ্চ স্বচ্ছতা ও জনগণের একতা প্রতিষ্ঠা করে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও ব্যক্তিগত সহিষ্ণুতা বাড়ানো হচ্ছে
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ একটি গভীরভাবে সমস্যার বিষয় হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলি প্রতিষ্ঠান গুলি, সাংবাদিক ও গবেষক সংগঠনগুলি প্রতি বছর এই সমস্যার স্থিতিতে আলোচনা করে। সরকারী তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের হার কমেছে, কিন্তু এখনও এটি চিরকালের সমস্যা হিসাবে রয়েছে। বিভিন্ন অবৈধ কারণে, অর্থনৈতিক সঙ্গতি, সামাজিক পার্থক্য, শিক্ষার অভাব, স্বার্থপরতা ইত্যাদি বাল্যবিবাহের পথে অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধির সাথে সংযোগিত। তবে, সরকার এবং সামাজিক সংগঠনগুলি সক্রিয়ভাবে এই সমস্যার সমাধানে চিন্তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।